--> যেসব যেসব কারণে নামাজ ভঙ্গ করা ওয়াজিব বা জায়েজ । - islamic guide -->

যেসব যেসব কারণে নামাজ ভঙ্গ করা ওয়াজিব বা জায়েজ ।

যেসব যেসব কারণে নামাজ ভঙ্গ করা ওয়াজিব বা জায়েজ

যেসব যেসব কারণে নামাজ ভঙ্গ করা ওয়াজিব বা জায়েজ ।



যেসব যেসব কারণে নামাজ ভঙ্গ করা ওয়াজিব বা জায়েজ ।


যখন কোন বিপদগ্রস্ত লোক নামাজ আদায়কারীর কাছে সাহায্য চায় , কিন্তু মা-বাবা ডাকলে ওয়াজিব নয় । এক দেরহাম সমমূল্যের কোন জিনিস চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ , যদিও তা অন্যের হয় । ছাগলের উপর বাঘের হামলা হওয়া , অথবা কোন অন্ধ ব্যক্তি কুপে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হওয়া ।


এ জাতীয় কোনো সমস্যা দেখা দিলে নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ আছে । ( সন্তান প্রসবের সময় ) ধাএী  যদি সন্তান মারা যাওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে সে নামাজরত থাকলে তার নামাজ ছেড়ে দেওয়া ওয়াজিব । অন্যথায় নামাজ আদায়ের বিলম্বিত করলে কোন ক্ষতি নেই । শিশুর প্রতি ধাত্রী মনোযোগী থাকবে । এভাবে মুসাফির যদি চোর বা ডাকাতের আশঙ্কা করে তাহলে ওয়াক্তিয়া নামাজ বিলম্বিত করা তার জন্য জায়েজ হবে ।


ইচ্ছাকৃতভাবে অলসতা করে নামাজ পরিত্যাগকারীকে শরীর থেকে রক্ত বের হওয়া পর্যন্ত খুব প্রহার করতে হবে এবং নামাজ না পড়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে বন্দী করে রাখতে হবে । অনুরূপভাবে রমজানের রোজা পরিত্যাগকারীকে প্রহার করবে । তাকে হত্যা করা যাবে না , তবে যদি সে নামাজ-রোজার কোনটিকে অস্বীকার করে বা তুচ্ছ , তাচ্ছিল্য করে তবে তা স্বতন্ত্র বিষয় । 




মা বাবার ডাকে সাড়া দেওয়ার ব্যাখ্যাঃ


ফরজ নামাজ আদায় করা কালে মা-বাবা যদি ডাকে তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দেবে না । আর যদি নফল নামাজ পড়তে থাকে তাহলে তাদের ডাকে সাড়া দেবে । আর নফল নামাজ আদায় করতে থাকলে মা-বাবা যদি জানে,যে সন্তান নামাজ পড়ছে এমতাবস্থায় ডাকলে সারা দেওয়া ওয়াজিব নয় । আর নফল নামাজরত অবস্থায় যদি পিতা-মাতার ডাকে এবং সে নামাজরত এ কথা যদি তাদের জানা  না থাকে তাহলে নামাজ ভেঙ্গে ফেলা ওয়াজিব । 

      

                                ( মারাকিল ফালাহ: পৃষ্ঠা ৩৭১ )



হত্যা করার প্রসঙ্গে ব্যাখ্যাঃ


কেউ যদি ফরজ নামাজ তরক করে, তবে এ কারণে তাকে হত্যা করা শরীয়তে জায়েজ নেই । কেননা, মুমিনকে হত্যা করা জায়েজ নেই । হ্যাঁ , যদি সে নামাজকে অস্বীকার করে এবং নামাজের ফরজিয়াতকে অস্বীকার করে তাহলে হত্যা করা জায়েজ হবে । ঠিক তদ্রূপ রমজানের রোজা ছেড়ে দেওয়ার দ্বারা হত্যা করা জায়েজ হবে না । তবে যদি সে রমজান মাসে মানুষের সামনে খাবার খায় এবং রোজা অস্বীকার করে এবং রোজা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করে তাহলে তাকে হত্যা করা জায়েজ হবে ।  


                           ( মারাকিল ফালাহ: পৃষ্ঠা ৩৭৩ )