ওযুর সুন্নত সমূহ
অজুর সুন্নত সমূহ
অজুর সুন্নত ১৮ টি যথাঃ
১. উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা ।
২.অজুর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
৩.প্রারম্ভে মিসওয়াক করা মিসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল ধরা হলেও করা।
৪.তিনবার কুলি করা যদিও এক কোষ পানি দ্বারা হয়।
৫.তিন কোষ দ্বারা তিনবার নাকে পানি দেওয়া ।
৬.উত্তম রূপে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া যদি রোজাদার না হয়।
৭.এক অঞ্জলি পানি দিয়ে ঘন দাড়ির নিচের দিক থেকে খিলাল করা।
৮.আঙ্গুলসমূহ খিলাল করা।
৯.ধৌত করার আঙ্গোসমূহ তিনবার করে ধৌত করা।
১০.একবার পুরোনো মাথা মাসে করা।
১১.দুই কান মাসে করা যদিও তা মাথা মাসে করার পর অবশিষ্ট পানি দ্বারা হয়।
১২.আঙ্গুর সমূহ ধৌত করা সময় গোসামাজা করা।
১৩.বিরোধীহীনভাবে এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে আরেক অঙ্গ ধৌত করা।
১৪.নিয়ত করা।
১৫.আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাবের যে রূপ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
১৬.ডান অঙ্গ থেকে ওযু শুরু করা।
১৭আঙ্গুলের মাথার দিক থেকে এবং মাথার অগ্রভাগ থেকে শুরু করা।
১৮.গার মাসে করা গলা মাসে করা সুন্নত নয় ।
কারো কারো মতে শেষ চারটি কাজ মুস্তাহাব ।
হাদিসের আলোকে মেসওয়াকের ফজিলত
১.হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেন, যদি আমি উম্মতের কষ্ট অনুভব না করতাম তাহলে অবশ্যই আমি প্রত্যেক ও অজুতে মেসওয়াক বাধ্যতামূলক করে দিতাম।
২.নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেন, মেসওয়াক মুখের পবিত্রতা আনয়ন করে এবং প্রভুর সন্তুষ্টি সাধন করে।
মেসওয়াক এর পরিচয়
যে কাঠি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা হয় তাই মেসওয়াক নামে অবহিত। মিসওয়াক এক বিগত পরিমাপ হবে। এবং আঙ্গুলের সমপরিমাণ মোটা হবে, ও ডালটা পিলু গাছে হবে এক প্রকার বৃক্ষ যা দিয়ে দাঁত মাজন তৈরি হয় ।
কোরআন, হাদিস পাঠ করার সময় মেসওয়াক করা মুস্তাহাব মেসওয়াকের ৭০ টি ফজিলত ও উপকারিতা হয়েছে প্রথমটি হল মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় সর্বশ্রেষ্ঠ হলো মুখে মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয় অর্থাৎ ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়।