ইয়া উম্মাতি,, ইয়া উম্মাতি,,ইয়া উম্মাতি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর সময়ের ঘটনা।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসালাম এর জীবনের শেষ মুহূর্ত চলছে, একজন লোক এসে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিলেন। আর বললেন আমি কি ভিতরে আসতে পারি?
হযরত ফাতেমা (রাঃ) বললেন দুঃখিত আমার বাবা খুবই অসুস্থ,,।
হযরত ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসালাম এর কাছে গেলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন কে সে লোক?
হযরত ফাতেমা (রাঃ) বললেন আমি তাকে চিনি না আমি আগে কখনো তাকে দেখিনি !
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বললেন শোনো হে ফাতেমা সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসনকারী ফেরেশতা আজরাইল,,,,।
একথা শুনে ফাতেমা (রাঃ) এর অবস্থা কন্দনরত বোবার মত হয়ে গেল,,।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে জিব্রাইল আমার উম্মতের কি হবে? আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে??
জিব্রাইল (আঃ) হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি চিন্তা করবেন না,,। আল্লাহ তা'য়ালা ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের,,।
মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসুলের সামনে এলেন,,, জান কবজ করতে। মালাকুল মাউত আজরাইল আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূল (সাঃ) এর জান কবজ করতে থাকে,,।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রাইল,,,রাসূল (সাঃ) কে বললেন গোঙানির সাথে,,,,। ও জিব্রাইল এটা কেমন বেদনাদায়ক জান কবজ করা,।
ফাতেমা (রাঃ) তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন,,। আলী (রাঃ) তার দিকে উপড় হয়ে বসলেন,,,। জিব্রাইল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন,,,।
রাসূল (সাঃ) বললেন,,,,, হে জিব্রাইল,,,, তুমি মুখটা উল্টোদিকে ঘুরালে কেন ? তুমি কি আমার প্রতি বিরক্ত ?
জিব্রাইল (আঃ) বললেন হে রাসুল আমি সাকারাতুল মউতের অবস্থায় আমি আপনাকে দেখে কিভাবে সহ্য করতে পারি!
ভয়াবহ অবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসালাম ছোট্ট একটা গোঙানির দিলেন,,,,,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে আল্লাহ সাকারাতুল মউতের অবস্থা যত কষ্টই হোক কোন সমস্যা নেই,,, আমাকে সকল ব্যথা দাও,,আমি বরণ করে নিব,,,
কিন্তু আমার উম্মতকে কষ্ট দিও না,,।
রাসুলের শরীরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যেতে লাগলো, তার পা বুক কিছুই নড়ছে না। এখন আর রাসূলের চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিল,,,।
তিনি কিছু বলবেন মনে হয়,,,
আলী (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এর মুখের সামনে তার কানটা নিয়ে গেলেন,,,,।
রাসুল (সাঃ) বললেন,,, তোমরা নামাজ কায়েম করো,, এবং তোমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের যত্ন নাও,,।
রাসুল (সাঃ) এর ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ,,,।
সাহাবীরা একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্না করছে,,,,।
আলী (রাঃ) আবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এর মুখের সামনে তার কানটা নিয়ে গেলেন,,,,।
রাসুল (সাঃ) চোখ ভেজা অবস্থায় বলতে লাগলেন,,,
ইয়া উম্মাতি,,,,ইয়া উম্মাতি,,,,ইয়া,,,,উম্মাতি,,,,।
শিক্ষা
মৃত্যুর সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমাকে সব কষ্ট দাও,,, আমার উম্মতকে ব্যথা দিও না,,,
মৃত্যুর সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তোমরা নামাজ কায়েম করো রাসুল (সাঃ) আমি চলে গেলে আমার উম্মতের কি হবে? মৃত্যুর সময় রাসূল (সাঃ) বললেন,,,,।
ইয়া উম্মাতি,,,ইয়া উম্মাতি,,,ইয়া উম্মাতি,,,,।
এখন আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন আমরা এমন নবীর উম্মত হয়ে নামাজ কায়েম করিনা শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'য়ালার কত প্রিয় ছিলেন,,,। তিনি ছিলেন আল্লাহ তায়ালার বন্ধু,,,।
তিনি যদি মৃত্যুবরণ করার সময় এমন কষ্ট পান তাহলে আমাদের কি হবে??
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন।
(আমিন),,,,,।
১.রাসূল (সাঃ) এর ১১ জন প্রিয়তমা স্ত্রী
২.রাসূল (সাঃ) যেভাবে নামাজ আদায় করতেন
৪.نبی کا فرمان پریشانی دور کرنے کا طریقہ